মার্শাল ভিয়েন সামার্স
এর উপর যেভাবে নাযিল হয়
২1 শে মে, ২014 এ
বোল্ডার, কলোরাডোতে
এটি এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা নবীগণের সীল সম্পর্কে কথা বলি যাতে বিশ্বের মানুষ বুঝতে পারে আসলে এর অর্থ কি এবং কেন ঈশ্বরের মহান বাণী রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ যা শুধুমাত্র মানবকুলের বিকাশ ও বিবর্তনের নির্দিষ্ট সঙ্কটকালে দেওয়া হয়।
এই মহান বাণী বিশ্বের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা মানব সভ্যতার অবয়ব প্রদান করে।
এখন অভ্যন্তরীণ বিচ্ছেদ এবং পতন থেকে এবং মহাবিশ্বে শক্তির অধীনতা থেকে যারা মানুষের দ্বন্দ্ব ও অজ্ঞতার সুযোগ খোঁজে তাদের হাত থেকে মানব সভ্যতাকে রক্ষা করার জন্য ঈশ্বর আবারও কথা বলেছেন।
ইহা একটি প্রান্তিক অবস্থান যা দীর্ঘ প্রত্যাশিত এবং আগমনের জন্য নির্ধারিত ছিল, এবং এটি এমন এক সময়ে পৌঁছাবে যখন মানবকুল একটি বিশ্ব সভ্যতা প্রতিষ্ঠা করতে শুরু করেছিল – অবশ্যই একটি নিখুঁত সভ্যতা নয়, তবে একটি সভ্যতা যাইহোক।
যখন নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ হয়ে যাবে এবং যখন মানবকুলের নিজের ত্রূটিগুলির দুর্বলতা এমন একটি পর্যায়ে বৃদ্ধি পাবে যে মানব সভ্যতা পরিবেশগত পতন এবং ব্যাঘাতের মাধ্যমে বিপন্ন হয়ে পড়বে এবং পৃথিবীটি এমন একটি পর্যায়ে লুটপাট হয়ে যাবে যেখানে একটি ক্রমবর্ধমান মানবকুলের জন্য এটি আর যথেষ্ট পরিমাণে সরবরাহ করতে পারবে না।
এটি এমন একটি পর্যায়ে গিয়ে স্থীর হয়ে যাবে যখন মহাবিশ্বে মানবতার দুর্বলতা একটি সংকটপূর্ণ প্রান্তিক মানে পৌছাবে। কারন নির্দিষ্ট কিছু প্রজাতির দ্বারা এই পৃথিবী তাদের নিজস্ব উদ্দেশ্য এবং পরিকল্পনার জন্য দীর্ঘকালব্যাপী পর্যবেক্ষিত হয়েছে।
ঈশ্বর এটা অবশ্যই জানেন, কারণ এটি বিশ্বের যে কোনও বিবর্তনের অংশ – যে কোনো বিশ্বে একটি জাতির একটি আদি উৎস রয়েছে, অথবা যে কোনো বিশ্ব বাইরে থেকে আগন্তুকদের দ্বারা অনুশীলন হয়েছে। এটা পূর্বাভাস যোগ্য। এটা খুব শীঘ্রই বা পরে ঘটবে। এবং এখন মানবকুলের জন্য এই সময়টাই এসেছে।
ঈশ্বর একটি সীল মেরে মহান বাণীকে রক্ষা করেন। সীল মানে যে ফেরেশতাগণের পরিষদ্ অন্য কোনো মহান বাণী প্রদান করবেন না যতক্ষণ না মহাবিশ্বের প্রভু তা নির্দেশ করেন। এটি তাদের সীল, নৈরাজ্য, রচনাচুরি থেকে মহান বাণীকে রক্ষা করে এবং যারা নিজেদেরকে প্রচারক এবং মেসেঞ্জার হিসাবে ঘোষণা করে, যা অনিবার্যভাবে পৃথিবীর জন্য একটি মহান বাণী প্রকাশিত হলেই ঘটে।
পৃথিবীর মানুষ জানবে না এই সীলের অস্তিত্ব। এটা এমন কিছু নয় তারা স্পর্শ করতে পারে। এটা তাদের সংবিধানে লেখা নেই। এটা ব্যাপকভাবে উপলব্ধি অথবা গৃহীত হয়নি।
কিন্তু এই বিশ্বের তত্ত্বাবধানকারী ফেরেশতাগণের উপস্থিতি এবং পরিষদের মধ্যে এটি একটি খুব পরিষ্কার আদেশ এবং তা অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হতে হবে, অথবা মহান বাণীগুলি নজিরবিহীন পরিমান দূষিত হতে পারে। ঐগুলি অজ্ঞতা এবং দুর্নীতি এবং ভুলভাবে পালনের মাধ্যমে সময়ের সাথে মানবজাতির দ্বারা প্রভাবিত এবং পরিবর্তিত হবে। স্বর্গে কিন্তু সীল সম্পূর্ণ, আপনি দেখেন।
তবে, একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে, ঈশ্বর সীল ভাঙ্গবেন, কারণ নতুন বাণী অবশ্যই আসতে হবে। কারন, পূর্বের নাযিলকৃত মহান শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির বাস্তব চাহিদা পূরণে অপর্যাপ্ত হবে।
মহান বাণীগুলো নাযিলের অন্তর্বর্তী সময় খুব দীর্ঘ হবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, কারন, তারা দীর্ঘকাল ব্যপী মানবকুলের জন্য চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট।
কিন্তু এখন আপনি মহা দোরগোড়াতে পৌঁছেছেন যেখানে ঈশ্বর আবারও কথা বলেছেন – এমন মহা দোরগোড়া যার জন্য মানবকুল অজ্ঞ এবং অপ্রস্তুত, এমন মহা দোরগোড়া যে প্রাচীন সময়ে অর্পিত মহান বাণীগুলো আর কার্যকর নয়। তাদের এই জন্য উপযুক্ত করা হয়নি। তাদের এই উদ্দেশ্যের জন্য অনুমোদিত ছিল না। মানব সভ্যতা এবং সময়ের সাথে সাথে বিশ্ব সভ্যতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তারা সমালোচনামূলক ছিল।
কিন্তু এখন মানব সভ্যতার পরিস্থিতিটা আজ যা দাঁড়িয়েছে তাতে ভেতর এবং বাহির উভয় থেকেই হুমকিস্বরুপ। এমন হিংস্রভাবে হুমকিস্বরুপ যে ঈশ্বর আবারও কথা বললেন, কারন ঝুঁকি খুবই প্রচণ্ড, বিপদ খুবই গুরুতর, মানুষের অজ্ঞতা খুবই গভীর।
এমনকি আগে দেওয়া মহান বাণীগুলো নিজেদের মধ্যে এবং একে অপরের মধ্যে বিচ্ছিন্নাবস্থা এবং বিতর্কিত। তারা মহাবিশ্বে জীবের একটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য মানকুলকে প্রস্তুত করতে পারবে না। তারা পরিবেশগত পতনমুখী একটি বিশ্বের জন্য মানকুলকে প্রস্তুত করতে পারবে না – একটি সর্বাধিক পরিবর্তন যেকোনো বিশ্বে যেকোনো সভ্যতার ক্ষেত্রে ঘটতে পারে। তাদের এই উদ্দেশ্যের জন্য অনুমোদিত ছিল না।
ঈশ্বর এটা জানেন, অবশ্যই জানেন। কিন্তু মানবকুল জানে না। এরা বুঝতে পারে না দিগন্তের উপর কি আসছে। এরা মহাবিশ্বের চারপাশে জীবনের আলোকে তাদের অবস্থান বোঝে না। এরা পৃথিবীর অবস্থা সম্পর্কে যথেষ্ট পরিমাণে জানে না যে এই বিশ্বের প্রাকৃতিক উত্তরাধিকার কি পরিমানে ইহার অতিরিক্ত সেবন এবং ব্যয় করেছে। এটি সময়ের সাথে আত্মবিধ্বংসী ও বিচ্ছিন্নতার অচল পথ।
যদি মানবকুল প্রস্তুত না হয়, তাহলে মানব সভ্যতাকে গুরুতরভাবে হ্রাস করার জন্য গ্রহের মধ্যেই যে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে তাই যথেষ্ট।
এখানেই সীল ভাঙা হয় কারন একটি নতুন বাণী দেওয়া আবশ্যক। যীশু জীবনের পরে সীল ভাঙ্গা হয়েছিল যখন মুহাম্মদকে পৃথিবীতে তাঁর মহান মিশন দেওয়া হয়েছিল। এবং পৃথিবীতে ঈশ্বরের নতুন বাণীর জন্য এখন আবারও সীল ভাঙ্গা হচ্ছে।
এখানে আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে মহান মেসেঞ্জারগণ সবাই ফেরেশতাগণের পরিষদ থেকে এসেছেন, একটি বিশেষকার্যের জন্য বিশ্বে প্রেরিত, নির্দিষ্ট সঙ্কটকাল এবং সুযোগের সময় বিশ্বে প্রেরিত। ওনারা সবাই পরিষদ থেকে এসেছেন। ওনাদের সকলের একটি সাধারণ উত্স আছে। ওনারা ঈশ্বরের পুত্র নন। ওনারা মহাবিশ্বের কেন্দ্র নন।
তাঁরা এই পৃথিবীর তত্ত্বাবধানকারী পরিষদ থেকে এসেছেন, এই পৃথিবী মহাবিশ্বের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্ব এবং তাৎপর্যপূর্ণ কারন মানবকুল তার আধ্যাত্মিক সচেতনতাকে জীবিত রেখেছে। তার অনেক ত্রুটি এবং দুঃখজনক ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও – গুরুতর দ্বন্দ্ব এবং চরম দুর্ভাগ্য এটি নিজে নিজেই গড়েছে এবং বিশ্বের উপর অর্পন করেছে – এটি এখনও মহান প্রতিশ্রুতি এবং তাৎপর্যপূর্ণ একটি পৃথিবী।
যখন এখনকার ঘোষণাটি সম্পূর্ণ হবে ঈশ্বর নতুন সীল তৈরি করবেন, এবং এটি শতাব্দী ধরে চলবে।
লোকেরা তথাপিও ঈশ্বরের কাছ থেকে পাওয়া বাণী বা নবী বা মুক্তিদাতা হিসেবে দাবি করবে। কিন্তু ফেরেশ্তাগনের পরিষদ তাদেরকে এটা সত্য এবং খাঁটি হওয়ার জন্য যা প্রয়োজন হবে তা দেবে না। এইভাবে, স্বর্গ মহান বাণীকে রক্ষা করতে যতটুকু পারে করে, যা মানুষের অপব্যবহার এবং ভুল বোঝাবুঝির জন্য খুব দুর্বল।
এই মহা সঙ্কটকালে বিশ্বের জন্য ঈশ্বরের নতুন বাণী বিশ্বকে দেওয়া সর্বকালের সর্বাধিক বিস্তৃত – এটি এখন একটি শিক্ষিত বিশ্বেকে দেওয়া, যেটা বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য ও যোগাযোগের একটি বিশ্ব, যেটা বিশ্বব্যাপী বিপদ এবং ঝুঁকির একটি বিশ্ব, ভবিষ্যতে এর ভ্রান্ত ব্যাখ্যা এবং অপব্যবহারের সম্ভাবনা সীমাবদ্ধ রাখার জন্যে নিজস্ব ভাষ্য দিয়ে এখন বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সর্বাধিক পুনরাবৃত্তির সাথে দেওয়া হচ্ছে, সত্যিকার অর্থে বোঝার জন্য অনেক উপায়ে বলে মানুষকে সর্বাধিক সুযোগ দেওয়া হচ্ছে যে তারা কি গ্রহণ করছে এবং এই সময়ে অবশ্যই কেন দেওয়া হচ্ছে।
বিশ্বের জন্য ঈশ্বরের নতুন বাণীতে একটি সতর্কতা, একটি আশীর্বাদ এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে। প্রস্তুতি ছাড়া, আপনি সাবধানবাণীর সাড়া দিতে পারবেন না। সতর্কতা ছাড়া, প্রস্তুতির গুরুত্ব বুঝতে পারবেন না। এবং আশীর্বাদ ছাড়া, সাহস ও দৃঢ়তার সাথে এই বিশ্বের জন্যে যা অবশ্যই করতে হবে তা করার, এবং এখানে আপনার উদ্দেশ্যের বাস্তব অর্থ এবং এই মহা সঙ্কটকালে আপনাকে কেন পাঠানো হয়েছে তা বুঝতে পারার শক্তি আপনার নেই অথবা আপনি জানেনও না আপনার নিজের মধ্যে না অপরের মাঝে কোথায় যেতে হবে।
এটি নির্বাচিত কয়েকজন বা কয়েকজন মনোনীত ব্যক্তি বা আপনার মধ্যে সবচেয়ে ধনী এবং সর্বাধিক বিশেষাধিকারের জন্য উপহার নয়। এটি সমগ্র বিশ্বেকে দেওয়া হয়েছে, সহজ ভাষায় দেওয়া হয়েছে, সর্বাধিক সম্ভাব্য উপায়ে প্রদত্ত, বিশিষ্ট শক্তি দিয়ে দেওয়া, মানব অভিজ্ঞতার প্রায় প্রতিটি উপায়ে কথা বলা হয়েছে, বিশ্বেকে পুনরধিষ্ঠিত এবং জীবের বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে মানবকূলকে এই একটা অসাধারণ সুযোগ দেওয়া হয়েছে, যার জন্য সাড়া দেওয়া এখন অবশ্যই শিখতে হবে।
মনে করবেন না যে আপনার প্রয়োজনের জন্য এটি অপ্রাসঙ্গিক, কারন এটি এই পৃথিবী যা আপনি পরিবেশন করতে এসেছেন। সর্ব বিষয়ে অথবা সব পদ্ধতিতেই এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নির্ধারণ করবে – আপনি কি ধরণের জীবন ধারন করতে সক্ষম হবেন যা আপনার জীবনকে সীমাবদ্ধ করবে এবং আপনার বৃহত্তর শক্তি এবং মহৎ অভিপ্রায় আপনার কাছ থেকে কি সৃষ্টি করতে পারে যা আপনার মন-পৃষ্ঠের নীচেই লুকানো অবস্থায় আছে। মনে করবেন না যে এটা আপনার সাথে কথা বলছে না, কারন আপনাকে এই কারনেই পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে।
এই জগতের ভেতরে এবং এই জগতের বাইরে কি ঘটছে, এই জগতের বিষয়ে – আজকে যারা জীবিত তাদের এবং তাদের সন্তানদের এবং পরবর্তী প্রজন্মের প্রত্যেকের ভাগ্য এবং ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে। এটা এইরকম পরাক্রমশালী। এটা এইরকম আবশ্যকীয়।
এটা (ঈশ্বরের কাছ থেকে নতুন বাণী) ধর্মের ব্যাপারে আপনার বোধশক্তির পরিবর্তন এবং এখানে অত্যন্ত স্বচ্ছতা আনয়ন করবে। এটি সমস্ত ধর্মের ঐক্যতা এবং মানব আচরণ ও বোধশক্তির জন্য প্রকৃত ন্যায়পরায়ণতা ও নৈতিক ভিত্তি প্রদানে তারা কীভাবে পরস্পর পরস্পরের উপর গঠিত তা প্রতিষ্ঠা করবে।
কিন্তু এখন আপনি ভিন্ন জগতে বসবাস করছেন, এবং আপনি ভবিষ্যতে একটি খুব ভিন্নতর জগতের সম্মুখীন হবেন, যে বিশ্বে হ্রাসপ্রাপ্ত সম্পদ এবং ভারসাম্যহীন জলবায়ু, যে বিশ্ব সকল জীবনকে প্রভাবিত করবে, ধনী কিংবা গরীব, বিশ্বের সর্বপ্রান্তে।
কাজেই প্রয়োজনটা যেমনি অপরিসীম। ঝুঁকিটাও তেমনি গুরুতর। তার প্রভাবও শক্তিশালী এবং এর গুরুত্ব এমন যে ঈশ্বর আবারও কথা বলেছেন এবং বিশ্বে একটি নতুন মেসেঞ্জার পাঠিয়েছেন। ফেরেশতাগণের পরিষদ থেকে প্রেরিত তিনি, যাদেরকে আগে পাঠানো হয়েছে তাদের সকলেরই অনুরূপ। তাঁরা সবাই তাঁর সাথে আছেন, কারণ তিনি এই সময়ের যুগপৎ, এই যুগের এবং ভবিষ্যতের দীর্ঘকালীনের মেসেঞ্জার।
সীল তাঁর সাথে থাকবে এবং স্বর্গ দেখবে পৃথিবীতে তাঁর উপস্থিতিতে কারা সাড়া দিতে পারেন। তিনি এখন একজন বৃদ্ধ মানুষ এবং এটি শেখানোর জন্য দীর্ঘ সময় তাঁর নেই।
তিনি ঈশ্বরের একটা ওহী প্রাপ্তির জন্য তাঁর জীবন অতিবাহিত করেছেন যা আরও বেশি সুবিশাল এবং আরও সম্পূর্ণ যা মানবজাতিকে আগে কখনও দেওয়া হয়নি।
এটি মহাবিশ্বে জীবনের তাত্পর্য উদ্ঘাটন করবে। এটা আপনার জীবনের এবং সমগ্র বিশ্বের দিগন্তের উপর কি আসছে তা উদ্ঘাটন করবে। এটি উদ্ঘাটন করবে একটি উচ্চ স্তরে মানুষের আধ্যাত্মিকতার প্রকৃত রূপ, যে স্তরকে বলা হয় জ্ঞান। এখানে এই পৃথিবীতে প্রকৃত সহযোগিতা তৈরির জন্য এবং এর স্থায়ী দ্বন্দ্ব এবং বিশ্বের ভয়ানক লুণ্ঠনের অবসান ঘটাতে মানবকুলকে অবশ্যই কী শিখতে হবে তা প্রকাশ করবে। এই একমাত্র পৃথিবী আপনাদের আছে যা আপনাদের বাচাইয়া রাখতে পারে।
এই সৌরজগতের বাইরে আপনার চারপাশের মহাবিশ্ব আপনার জয় করা বা অনুসন্ধান করার জন্য নয়। সেখানে ভয়াবহ বিপদ রয়েছে, যার সম্বন্ধে মানবজাতি মোটেও কিছু জানে না। তারপরেও তারা আদিম দৃষ্টিতে খুঁজছে, অজ্ঞতার চোখে এবং আশাবাদী প্রত্যাশায়। এই মহাবিশ্বে জীবের একটি মহাসম্প্রদায়ের সাথে তারা কী মোকাবিলা করছে তা জানে না।
ঈশ্বরকে এখন অবশ্যই সরবরাহ করতে হবে, অন্ততপক্ষে পর্যাপ্তরূপে, যাতে মানবজাতি প্রজ্ঞার সাথে প্রস্তুতি এবং কাজ করতে পারে এবং এখনকার জন্য বরং নিছক দক্ষতার ভান না করে ভবিষ্যতের জন্য উদ্বিগ্ন হয়।
এই সবকিছু নির্ভর করছে আপনি কে – আপনার গভীর প্রকৃতির উপর, আপনি কেন আপনার মত এবং আপনাকে কেন আপনার মত করে তৈরি করা হয়েছে – যা আপনি বুঝতে পারবেন না যতক্ষন না পর্যন্ত আপনি উপলব্ধি করেন যে এটি একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্যের জন্য, যা আপনি এখনও সত্যিই আবিষ্কার করতে পারেননি।
আপনাকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে নবীগনের সীল ভাঙ্গা হয়েছে। কোন ব্যক্তির দ্বারা নয়, একটি ধর্মের দ্বারা নয়, কেবলমাত্র ঈশ্বরের দ্বারা, যিনি ফেরেশ্তাগণের উপস্থিতিতে এবং পরিষদ, যারা এই বিশ্বে মানবজাতির অগ্রগতি ও বিবর্তন তত্ত্বাবধান করেন, এর মাধ্যমে বিশ্বের সাথে যোগাযোগ করেন।
এখানে ধর্মের ব্যাপারে যথেষ্ট স্বচ্ছতা থাকবে, আপনার জীবনের অর্থ, মানবজাতীর নিয়তি, এবং ভবিষ্যতের বিশাল চ্যালেঞ্জ, যার জন্যে মানবকুলের এই সময়ে প্রস্তুত থাকা আবশ্যক।
এই থেকে শঙ্কিত হবেন না। আপনার নিজের নিবিষ্টচিত্তার অন্ধকারের মধ্যে পড়ে যাবেন না। হতাশায় পড়বেন না। কারন ঈশ্বর আপনার নিজের মধ্যেই একটি গভীর শক্তি দিয়েছেন যাতে আপনি এর সাড়া দিতে, একটি বৃহওর বিশ্বের মোকাবেলা করার প্রস্তুতি গ্রহন এবং একটি মহান জীবনের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সক্ষম হন।
আপনি এখনও বুঝতে পারবেন না এর মানে কি, কিন্তু যথাসময়ে এটি দিনের মত পরিষ্কার হয়ে যাবে। ঈশ্বর আপনাকে দেখার জন্য চোখ এবং শোনার জন্য কান দিয়েছেন, কিন্তু সেগুলো এমন চোখ নয় যদ্বারা আপনি এখন দেখছেন বা এমন কান নয় যদ্বারা আপনি এখন শুনছেন। অথচ সেগুলো আপনার মধ্যেই অবস্থান করছে – আপনার গভীর ভেতরে।
এটি আপনার জীবনের প্রকৃত শক্তি। এটি মানবজাতির প্রকৃত শক্তি। এটাই এখানে পৃথিবীতে আপনার জীবনের জন্য এবং মানবজাতির ভবিষ্যত এবং ভাগ্যের পরিণামফল এর সমস্ত পার্থক্য নিরূপণ করবে।
পৃথিবীর জন্য একমাত্র ঈশ্বরের নতুন বাণীই এই বিষয়গুলি এখন আপনার কাছে প্রকাশ করতে পারে। এছাড়া, মানবজাতি তার দুর্দান্ত রণশীলতার অব্যাহত পতন, তার দুর্দান্ত সংগ্রামশীল জীবনের যাত্রাপথ, হ্রাসকৃত এই বিশ্ব এতই সংকটপূর্ণ হবে যে এটি কোনও স্বীকারোপযোগী রুপের মধ্যে মানব সভ্যতাকে টিকিয়ে রাখতে পারবে না। আপনি মহাবিশ্বের পরাক্রমশালী শক্তির শিকারে পতিত হবেন, এবং আপনি মুল্যবান যাইকিছু তৈরি করেছেন তার সবকিছুই হারিয়ে যাবে।
পৃথিবীর জন্য কেবলমাত্র ঈশ্বরের বাণী যা আপনাকে স্পষ্টভাবে, কোনও বিদেশী জাতি জড়িত থাকার স্বার্থ ছাড়া, কোনও কৌশল বা প্রতারণা ব্যতীত কোনরকম বিকৃতি ছাড়াই প্রকাশ করতে পারে।
আপনার অন্তরে, আপনি সাড়া দিবেন কারণ একটি গভীর স্তরে আপনি এখনও আল্লাহর সাথে সংযুক্ত। আপনি ধার্মীক হন বা নাই হন, আপনার একটি ধর্মীয় ঐতিহ্য আছে কিংবা নাই, আপনি তথাপিও সংযুক্ত। এবং এই হল আপনার ভবিষ্যত মুক্তির প্রতিশ্রুতি, আপনার বৃহত্তর শক্তির উৎস এবং আপনার আগে যাই কিছু ঘটুক না কেন তার অসাধারণ সমাধান।
ঈশ্বরের দ্বারাই মেসেঞ্জারগণের সীল আবারও ভাঙ্গা হয়েছে। মানবজাতি একটি নির্দিষ্ট গন্তব্যে, একটি সংকটময় সন্ধিক্ষণে পৌঁছিলে এটি ভাঙ্গা নির্ধারিত ছিল, যেখানে এমন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন, পতনমুখী একটি বিশ্বের মোকাবেলা এবং আপনার চারপাশের মহাবিশ্বের বাস্তবতা আগে কখনও গোটা মানবজাতির দ্বারা নিরীক্ষিত হয়নি।
ঈশ্বর এখন বুঝতে স্পষ্টতা দান করেছেন সব মহান ঐতিহ্যগুলো সত্যিই কি সম্বন্ধে বলেছিল, ব্যক্তি এবং সরকারের বংশধরদের নিজস্ব উদ্দেশ্যে পরিবর্তিত, গৃহীত এবং ব্যবহৃত হওয়ার আগে।
এখানে আপনি সমস্ত মহান মেসেঞ্জারদের সম্মান করবেন এবং পৃথিবীতে তাদের অভিযানটি আরও পুরাপুরিভাবে, পরিষ্কারভাবে বুঝবেন। কারন বিশ্বের ধর্মগুলির মধ্যে কোন বিরোধ এবং প্রতিযোগিতা থাকা উচিত নয়, কারন সেগুলো সব ঈশ্বরের দ্বারা শুরু হয়েছে, এবং তা মানুষের দ্বারাই সবগুলো পরিবর্তিত হয়েছে।
সীল ভাঙা হয়েছে, কিন্তু ইহা পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হবে ঈশ্বরের নতুন বাণী একবার সম্পন্ন হলে, এবং একদা মেসেঞ্জার যখন তাঁর নিজের জীবনে এটি উপস্থাপন করবেন, যা প্রকাশ্যে সত্যিকারের, সম্পূর্ণরূপে খাঁটি হওয়ার জন্যে এখন ঘটতে হবে। তাদের দ্বারা পরে এটা একত্রিত করা যাবে না যারা তাঁকে চেনে না।
এই পৃথিবীতে দেওয়া সর্বকালের সর্ববৃহত বাণী গ্রহণ করা তাঁর একটা মহান কাজ – এটি সংকলন করা, তার সঠিকতা নিশ্চিত করা, এটি শিখা যাতে এটি শেখানো যেতে পারে, সম্পূর্ণরূপে বুঝে নেওয়া যতদিন তিনি এখানে এই পৃথিবীতে একজন মানুষ হিসেবে আছেন, এই মহান কাজে যারা তাঁকে সাহায্য করবে সেই সাহসী ব্যক্তিদের তাঁর চারপাশে জড়ো করা, যাতে তাঁর জীবদ্দশায়, ঈশ্বরের বাণী উহার বিশুদ্ধ রূপে উপস্থাপিত হতে পারে, মানবজাতীর জন্য পূর্ববর্তী বাণীগুলোকে জর্জরিত করেছে এমন একটা দ্বন্দ্বের সমাধান হয়।
আশীর্বাদ আপনার উপর। এটি বিশ্বের উপরও, কিন্তু এটি অত্যন্ত জরুরী এবং প্রয়োজনীয়তার সাথে আসে। এটি এমন একটা জিনিস নয় যদ্বারা আপনি নিজেকে সমৃদ্ধ বা তার সাথে রসিকতা করার চেষ্টা করতে পারেন। আপনি অবশ্যই গভীর শ্রদ্ধা এবং অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে ইহার প্রতি অগ্রসর হবেন এবং এটি আপনার জন্য এবং আপনার বিশ্বের জন্য সত্যিই ইহার অর্থ কি তা দেখার সম্মতি থাকতে হবে।
এটি অবশ্যই সমস্ত ধর্মীয় ঐতিহ্য এবং সমস্ত জাতি এবং সংস্কৃতির মানুষের সাথে কথা বলবে।
মেসেঞ্জার ইহার গ্রহন, প্রস্তুত এবং পৃথিবীতে ইহা পেশ করতে যা প্রতিষ্ঠা করেছেন তার বাইরে এটি যেকোনও বিদ্যমান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মালিকানা মুক্ত হওয়া আবশ্যক।
তাঁর আপনার সমর্থনের প্রয়োজন হবে। কিন্তু আপনাকে এই সম্পর্কে অবশ্যই শিখতে হবে এবং আপনার জীবনে এটি প্রয়োগ করে বুঝতে হবে। আপনি এটি থেকে বিচ্ছিন্ন থেকে এটি বুঝতে পারবেন না কারন বিশ্বের মঙ্গল এবং সুরক্ষার জন্য স্বর্গে উদ্ভূত একটি মহান বাণীর পক্ষে এটি সম্ভব নয়।
মেসেঞ্জারের উপর আশীর্বাদ এবং পৃথিবীতে তার অবশিষ্ট বছরগুলিতে যারা তাঁকে সহায়তা করবে তাদের সকলের উপর। এবং যারা সাহস, নম্রতা এবং বোঝার অত্যন্ত প্রয়োজন বোধ করে, তাদের জীবনের জন্য এবং এই জগতের ভবিষ্যতের জন্য যথাসময়ে গ্রহন করে ইহার অপরিহার্য গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারে তাদের উপর।